সোমবার, ২৩ মে, ২০১১

অসমাপ্ত প্রেম কাহী্নি (শেষ থেকে শুরু)

(দুই)
কেন??
আমি তোমায় করি আপন,
আর তুমি কর পর।
আমি টানি কাছে,
আর তুমি যাও দূরে।
আমি গরি,
আর তুমি ভাঙো
আমি সাজাই,
আর তুমি কর এলোমেলো।
আমি বাধি,
আর তুমি ছিড়ো
আমি তোমার সব সহ্য করি,
আর তুমি কর না।
আমি সব মানি,
আর তুমি মানো না।
আমি তোমায় খুজে মরি,
আর তুমি যাও লুকিয়ে।
আমি ভাবি তোমায় নিয়ে,
আর তুমি ভাবো অন্যকে।
আমি করি কান্না,

"যাত্রা "

অদ্ভূত সব বর্ণিল বিস্মৃতি..
স্মৃতির বিষন্ন কারাগারে,
আধখানা সুখের আধময়লা অনুভুতি..
আর নির্মম বাস্তব ;
চেনা পথজুড়ে অচেনা ঝাপসা চোখ
কলের গাড়ির তীক্ষ্ণ হুইসেল ..
পুরনো আকাশ , পুরনো মেঘ ..
একলা রাত্তিরে বর্ণিল আকাশে
একলা তারা গোনা প্রহর..
হাতে পুরনো কাব্য ,উপন্যাস ...
কিংবা খবরের কাগজের
প্রথম পাতা ,
আধো ঘুম আর জেগে থাকার মাঝে
পুরনো শৈশবে হেঁটে যাওয়া ,
কোনো পুরনো স্মৃতি ...
রোমন্থন করে
আনমনে হেসে ওঠা ,
বিস্তীর্ণ জনসমুদ্র পিছে পড়ে...
পড়ে থাকুক নদী - পাহাড় আর
কষ্টময় বর্তমান ..
কতদিন পর
শিকল ভেঙে,
আজ মুক্ত হলাম পাখির মত ..
ভাসলাম সাদা মেঘের ভেলায়..
ধুলোমাখা রাজপথ..
অস্থির কোলাহল.. আর ..
কলের আওয়াজ আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে..
রং ভরা কিছু অতীতকে মুঠোয় পুরে...
একরাশ স্বপ্নকে সঙ্গী বানিয়ে ...
আজ আবার পথিক হলাম..
আমি চললাম..
এই আমার একলা পথ ,

দায়হীন বন্ধুতা

রোদ্দূর জল কাদা মাখা
তোমার হাত আমাদের আনন্দ মেহেদী রাঙা,
অবাক বালিকার বাউল-দেউল হওয়া -
রুদ্ধ করলে যখন,
অভিমানের প্রতি স্তর গলতে লাগলো
স্নেহে পূর্ণ করলে জখম।
ব্রীড়ায়-আড্ডায়-ক্ষোভে, লাজে কার্তুজ আগুনে
প্রশ্ন করেছি যতবার, বলেছো এ প্রেম নয়-
তোমার একান্ত প্রকাশ হয়তো বা ভালোবাসার;
অমীমাংসিত বাস্তবে,
আকাশ পেরোনো স্বপ্নের সীমায়
জেনেছি প্রথমত-শেষ পযর্ন্ত আমরা "বন্ধু"
যেখানে নেই আর কোন দায়।
কবিতা লিখার পর বলে আমার লিখার দৈর্ঘ্য খুবই কম, নূনতম ৫০ শব্দ লাগবে । কি করি এখন??
এটা কেমন বিচার?? তাহলে হেলাল হাফিজের "পারমাণবিক বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না" এই লিখা তো আমরাবন্ধু তে জীবনেও পোস্ট হতো না

কষ্ট

ভাবছিলাম লিখব না। কিন্তু মনটা অনেক খারাপ।লিখে যদি মনটা ভালো হয়...
কষ্ট গুলো আছড়ে পরে বুকের মাঝে রক্তনালী জুড়ে
ছিন্ন করে দিতে চায়ে হিংস্রতার খুন পিয়াসের ছুড়ে
বন্ধ করে দিতে চায়ে জীবন প্রদীপ আশা
যেন মুছে দিয়ে যায়ে জীবনের সকল ভালবাসা
অশ্রু গঙ্গায়ে সিক্ত হয়ে শান্তি পায় নি হৃদয়
আশার ভাঙন সহ্য করতে তাই আরও কিছু অশ্রুর লাগবে সঞ্চয়
রাতের আধার পরে রবে সাথে কষ্টের দিন
স্বপ্ন গুলো মরীচিকায়ে মিলিয়ে কেন হয়ে যায়ে বিলীন?
কষ্টগুলো বাঘের থাবার মতন আছড়ে কেন পড়ে?
শান্তি নামের সুখ পাখিটা কেন বেথার আঘাতে ঝরে?
কেন নেতিয়ে যায়ে জীবনের মধুর স্মৃতি গুলো
জীবন কেন হয়ে উঠে হতাশার ধুলো?
রাতের বেলার শান্ত নির,
কষ্ট গুলো করে ভিড়
আবছা অন্ধকারের রাত জাগা ছায়া
মনের মধ্যে উকি দেয় শুধু জগতের মায়া
অবলীলায়ে ভাবনা আশে কতো কিছু মনে
শুধু আশাটাকে বাঁচাতে চায়ে মনে প্রানে

পিছু টান

দেহ বলে অনেক বড় হয়েছি ,
মন বলে আজও ছোট রয়েছি,
আকাশে চাঁদ উঠলে দেখতে যেতাম ,
বৃষ্টি হলে ভিজতে যেতাম,
পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলতে যেতাম,
দৌড়ে এসে নদীর বুকে ঝাপ দিতাম,
মাকে না বলেকতবার আম কুরাতে গেছি,
বৃষ্টিতে ভিজে কত বার অসূখ হয়েছি ,
অসূখের ঘোড়ে কত প্রলাপ বকেছি ,
ঘুমের ঘোড়ে কত চমকে উঠেছি ,
মা মা বলে কত কেঁদেছি ,
মায়ের আদরে সব ব্যথা ভূলছি ,
হারিয়ে যায়নি সেই স্মৃতি সব ,
চোখের সামনে আজও হয় উদ্‌ভব ,
সেই কাচালং নদীর পাড় ,
জল স্রোতে ভেঙে যায় যার দুইধার ,
আবার ও ফিরে যেতে চাই সেই পাড়ে ,
শহর ছেড়ে
চলমান ..........

তুমি ভালবেসেছিলে বলেই

তুমি ভালবেসেছিলে বলেই ,
মৃত্যুর উমমাদনাকে পেছনে ফেলে আরেকবার বেঁচে উঠা
পাগলের মতো করে বাচার লড়াই করা...
তুমি ভালবেসেছিলে বলেই ,
আমাকে নিয়ে আমার মেতে থাকা
নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোমার পথ-পানে চেয়ে থাকা...
তুমি ভালবেসেছিলে বলেই..
লাল শাড়ি লালচুরি পরে মাথায় সিদুরের রেখা টানা...
স্বাধীনতা গুলো জড় করে তোমার সাজানো ঘরের ঘরনী হওয়া..
তুমি ভালবেসেছিলে বলেই ,
তোমার পথের সাথে নিজের পথের ঠীকানা লিখা
পুরানো পথের নাশানা মুছে ফেলা।
তুমি ভালবেসেছিলে বলেই ,
নিজের ভিতরে নিজেকে ভেঙেচুরে
নতুন করে গড়ে তোলা....

অচিন্তন অনুভূতি

এক ধোঁয়াশা সকাল
এক মুঠো রোধ
জলকণার রাশি বয়ে চলেছে নদীর কুল ধরে
এরই মাঝে আছড়ে পড়ছে গাঙচিল
বিচিত্র মানুষের এই জীবন প্রকৃতির লীলাখেলা
কখনও ভেসে যায়ে আপন আনন্দে
কখনও বা কারও জোর করা কিছু পদক্ষেপ
তবুও মানুষ চলছে তার জীবনের অববাহিকায়ে
কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু স্মৃতি কালক্ষেপণ চালাচ্ছে জীবনের এই ধারাতে
নষ্ট করতে চাচ্ছে প্রশান্তির ছায়াকে
কিন্তু সে কি তা আসলেই করতে পারছে?
না মরিচিকার মত দুমড়ে মুচড়ে পড়ছে জীবনের অন্ধকার কুটরিতে?
মাঝে মাঝে সুখের অবসন্নতায়ে মানুষের একি মাখমাখি...!
তার মাঝে কি দুঃখ গুলো তাকে মলিন পরশ বুলাতে চাচ্ছে?
মানুষ কি ভুলে যাচ্ছে জীবনটাকে?
রোবটের তৈরি ইঞ্জিনকে বেছে নিচ্ছে?
না, একটি শুভ্র সকালের প্রতীক্ষায়ে তীর্থের কাকের মত নুড়ি কুরচ্ছে?
সেই সুন্দর সকাল যা মানুষকে এনেদিবে অনাবিল প্রশান্তি
একগুচ্ছ মেঘ আর কিছু শিশির যুক্ত ঘাসের মুক্ত ছড়ান আবেশ

আমার দেশ

নীল সমুদ্রের রং মেখে তাই আকাশ হল নীল
তাকিয়ে দেখ নদীর তালে নাচছে যেন বিল
তাকিয়ে দেখ মাছরাঙ্গাটা মেলছে রঙের পাখা
এসব বলে ,আমার দেশটা ছবির মতন আঁকা।
হরিন দেখ তিড়িং বিরিং লাফিয়ে লাফিয়ে চলে
ময়না যেন কণ্ঠ ছেড়ে দেশের কথা বলে
মাঝি দেখ দাড় বেয়ে গায়, ভাটিয়ালি গান
এসব যেন প্রকাশ করে দেশের জন্য টান।
রোদে পুড়ে কৃষক দেখ কাটছে সোনার ধান
নকশি কাথা গাইছে যেন দেশের জয়গান
বিলের দেখ পানকৌড়ি নাচছে মনের সুখে
দেশের নামটি ভাসছে যেন সবার মুখে মু...
বাদল দিনে আমটি কুড়ে যখন ঘরে আসা
বারান্দা পেতে মায়ের হাতের গরম খিচুরি নিয়ে বসা
সাথে থাকে টিনের চালে রিমঝিমঝিম শব্দ
ঠাণ্ডা হওয়ায়ে আমের চাটনি...আহা !! মনটা করে জব্দ।
রোজ সন্ধ্যায় আসর বসে,গাজির পালা গান
ঘরে ঘরে জাগে যেন আনুন্দেরই বান
আরও আছে সবুজ মাঠ আর শান বাধানো ঘাট
এসব নয়ত রুপকথা, নয় কোন প্রবাদ।
দেশের কথা বলব কি আর, বলব তোমায়ে কিতা

মা

মা...প্রতিটি সকালের সূর্যের হাসি
ভোরের সবুজ ঘাসে শিশিরের রাশি
মা...এক জলক মমতা আর একটু কঠোরতা
মনের মধ্যে নব পুষ্পের আবহগতা
মা...এক মধুর বানি,প্রশান্তির আবেশ
তুমি যাই বল,লাগে বড় বেশ
মা...রুক্ষ চোখে তাকিয়ে বল ,করবি না এটা বাছা
তোমার কঠোরতার মাঝেই মমতার ছায়ায় আমাদের বাঁচা
মা... জীবন তুমি চিন্তে শিখাও জীবনের মত করে
বাঁচতে তুমি শিখাও মোদের মমতার ডরে
মা... ভালবাসতে শিখাও তুমি নিষ্ঠুর জীবনটাকে
মমতা দিয়ে ঢেকে ফেলো সকল বর্বরতাকে
মা...তুমি আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া
তুমি না থাকলে হতনা এই জীবনটা পাওয়া
মা..তোমার কথা বলতে গিয়ে শেষ হয় না বলা
শব্দ গুলো একত্র হয়ে গাথে সুরের মালা
মা... তোমার কথা বলে আমি পারবনা করতে শেষ
তুমি মোদের জীবনে সুখের আবেশ
মা...তুমি জীবনের শুরু, জীবন তোমাতে শেষ

আশা

আশা আচ্ছাদিত এক গুচ্ছ কল্পনার রাশি
বারে বারে সেই বিন্দুতেই ফিরে আসি
কতগুলো মুহূর্তের অবণ্টিত শাখা
উরন্ত পাখির আচ্ছাদিত পাখা
ভালো আর মন্দের নাই কোন মত বিরোধ
এ যেন একাকীত্ব মনের কিছু ক্ষোভ
গুঞ্জরিত মনের অপ্রকাশিত বানী
কল্পনার অংকিত ইচ্ছের রানী
আশা সেতো কণ্ঠনালীর অপ্রকাশিত শব্দ
জীবনকে করে এক গণ্ডীর মধ্যে জব্দ
আশা যেন কুলকুল রবে বয়ে যাওয়া এক নদী
মনকে তৃপ্ত করে,বাস্তব হয় যদি
আশা যেন নিঃশেষিত ভালবাসার এক প্রবাহমান ধারা
মন ও কল্পনার মিলনের অলংকিত বারা
আশা সেতো জীবনেরই এক অংশ
আশা সেতো ভালোবাসার বংশ......।

জীবন

জীবন একটি আলংকরিক পাতা
জীবন সেতো হিসেবের খাতা

জীবন একটি সদ্য ফোটা ফুল
জীবন যেন ঘটে যাওয়া ভুল
জীবন সেতো রহসসের জাল
জীবন কতো সৃতির পাল
জীবন যেন আঁকা কোন ছবি
জীবন সেতো জীবনেরই কবি
জীবন তুমি তোমার মত চল
জীবন তুমি কার কথা বল?
জীবন তুমি একি আনুন্দ মহীয়সী
জীবন তুমি রং ধনু্র ঋষি
জীবন ...সেতো আমাদেরই গল্প
জীবন... সেতো সুখের সাথে দুঃখ অল্প
জীবন... কিছু আশার বনবাস
জীবন... সবার সাথে সবার বন্ধুত্তের আভাস......।






জীবন

জীবন একটি আলংকরিক পাতা
জীবন সেতো হিসেবের খাতা
জীবন একটি সদ্য ফোটা ফুল
জীবন যেন ঘটে যাওয়া ভুল
জীবন সেতো রহসসের জাল
জীবন কতো সৃতির পাল
জীবন যেন আঁকা কোন ছবি
জীবন সেতো জীবনেরই কবি
জীবন তুমি তোমার মত চল
জীবন তুমি কার কথা বল?
জীবন তুমি একি আনুন্দ মহীয়সী
জীবন তুমি রং ধনু্র ঋষি
জীবন ...সেতো আমাদেরই গল্প
জীবন... সেতো সুখের সাথে দুঃখ অল্প
জীবন... কিছু আশার বনবাস
জীবন... সবার সাথে সবার বন্ধুত্তের আভাস......।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন