দৃশ্যের পেছনে আছে অনেক দৃশ্য, নদীর পাশে জনপদ। ঋতুপরিবর্তনের মত কথন থেকে অতিকথনে জ্যোৎস্না মুখরিত প্রাঙ্গন ঢেকে যায় অনাবিল কুয়াশায়। শব্দের নড়াচড়া টের পাওয়া যায় অনেক গভীরে। মানুষের মত আহাম্মক নয় প্রকৃতি। সে ধারণ করে ক্লেদ ও অনুশোচনা। ডিমে তা দিতে বসা মুরগীটির একাত্মতা, নিস্কলুষ রাত্রে বিড়ালের চোখের ধূসর তন্ময়তা আর নির্ঘোষ বর্ষায় নাগরদোলনার মত দুলে ওঠা মাঠের শেষে একা দাঁড়িয়ে কদমগাছ প্রবল হর্ষে ছুঁয়ে ছুঁয়ে শৈশবের মত কোমল ও বিস্মিত শব্দপ্রবাহ।
এই কথন কখনই গল্প নয়। এই অনি:শেষ গল্পস্রোত নদীর মতই স্রোতস্বিনী। নদীর কলধ্বনী কানে বাজে নিশ্চিত সারল্যে আর উপাচারের প্রাচুর্যে বিস্মিত আমরা কেবল লক্ষ্য করি তিতাসের নদীজন্ম রূপান্তরিত হয়েছে সময়ের রূপকল্পে। কালের বল্কল খুলে এক কিশোরী মেয়ে হয়ে যাওয়া বাংলা গদ্যে সময়ের কিসসা প্রায় অন্ধকার একাকিনী প্রান্তরে নাছোড়বান্দা মশকদলের মতই ঘুরছে মাথার ভিতরে ও বাইরে। সেই গুঞ্জনের স্বর অনুচ্চ কিন্তু অনস্বীকার্য।
এই যে মশাই। এই লেখাগুল আপনি ব্লগ থেকে তুলে এনে নিজের ব্লগে দিয়ে দিয়েছেন বিনা অনুমতিতে এবং না জানিয়ে। এটা যে অন্যায় সে নিশ্চয়ই আপনি জানেন। পোস্টগুলো দয়া করে আপনার ব্লগ থেকে মুছে দিন।
উত্তরমুছুন