বিবর্তন তত্ত্বের পক্ষে নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের উপস্থাপিত যুক্তি-প্রমাণ! টিউন করেছেন : এস. এম. রায়হান |
একটি তত্ত্ব সম্পর্কে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হলে সেই তত্ত্বের পক্ষে সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তি-প্রমাণ দেখতে হয়। অন্যথায় ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই লেখাতে বিবর্তনবাদ তত্ত্বের পক্ষে নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঘা-বাঘা অধ্যাপকদের মধ্যে অন্যতম অক্সফোর্ড প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স এবং শিকাগো প্রফেসর জেরী কয়েন এর যুক্তি-প্রমাণ হাজির করা হয়েছে। প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স “The Greatest Show on Earth: The Evidence for Evolution” শিরোনামে একটি বই লিখেছেন, যেখানে বিবর্তনবাদ তত্ত্বের পক্ষে ‘Massive evidence’ উপস্থাপন করার দাবি করা হয়েছে। প্রফেসর ডকিন্স কী ধরণের ‘প্রমাণ’ উপস্থাপন করেছেন এবং সেগুলোকে আদৌ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বলা যাবে কিনা – তা নিজেরাই দেখুন। শুরুটা লক্ষণীয়, যেখানে বিবর্তনবাদকে কৌশলে হলোকাস্ট এর সাথে তুলনা করা হয়েছে! এবার ডারউইনবাদী মোল্লাদের প্রচারিত ‘বিজ্ঞান’ এর ঠ্যালা সামলান! আট পর্বের মধ্যে প্রথম সাড়ে তিন পর্বে লেকচার আছে ‘Massive evidence’ দেখলেন তো! এবার শিকাগো প্রফেসর জেরী কয়েন-এর উপস্থাপিত যুক্তি-প্রমাণ দেখুন। প্রফেসর কয়েন “Why Evolution is True” শিরোনামে একটি বই লিখেছেন, যেখানে প্রফেসর ডকিন্সের বই থেকে প্রমাণ সহ তাঁর নিজস্ব প্রমাণ উপস্থাপন করার দাবি করা হয়েছে। তার মানে প্রফেসর কয়েন এর বইটিকে এ যাবৎকাল বিবর্তনবাদ তত্ত্বের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো যুক্তি-প্রমাণ হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। প্রফেসর কয়েন কেমন ‘যুক্তি-প্রমাণ’ উপস্থাপন করেছেন এবং সেগুলোকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তি-প্রমাণ বলা যাবে কিনা – তাও দেখুন। এই লিঙ্ক থেকে প্রফেসর কয়েন এর বইয়ের রিভিউটাও দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি বিজ্ঞানের নামে ডারউইনবাদী মোল্লাদের উদ্দেশ্যও লক্ষণীয় - স্রষ্টা ও ধর্মের বিপরীতে নাস্তিকতা প্রচার। দেখবেন যে প্রতি মুহূর্তে বিবর্তনবাদে সংশয়বাদীদের উপর মনস্তাত্বিক চাপ প্রয়োগ থেকে শুরু করে যারা বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনীতে বিশ্বাস করে না তাদেরকে বিভিন্নভাবে হেয় করা হচ্ছে। এমনকি ডেমোগ্রাফি নিয়েও তারা বেশ চিন্তিত। এই নাকি তাদের বিজ্ঞান! বাংলা ডারউইনবাদীরা কিন্তু সাদা চামড়ার কিছু ডারউইনবাদী নাস্তিকদের লেখাকেই কোনরকম সংশয়-সন্দেহ ছাড়া বিজ্ঞানের নামে চালিয়ে দিয়ে নিজেদেরকে যুক্তিবাদী, সংশয়বাদী, বিজ্ঞানমনষ্ক, ইত্যাদি হিসেবে দেখিয়ে একদিকে ইসলামকে ‘ভুল-মিথ্যা-অসার-ইত্যাদি’ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে অন্যদিকে আবার মুসলিমদেরকে ‘বিজ্ঞান-বিরোধী, মৌলবাদী, অজ্ঞ, ধর্মান্ধ, ইত্যাদি’ হিসেবে দেখিয়ে হাসি-ঠাট্টা ও হেয় করা হচ্ছে। অসচেতন লোকজন হয়ত ভাবছেন তারা বিজ্ঞান প্রচার করছে! প্রফেসর জেরী কয়েন এর লেকচারে লক্ষণীয় দুটি বিষয়: দেখতে হবে উনার লেকচারের মধ্যে নতুন কিছু আছে কিনা; উনি যা বলেছেন সেগুলোকে বিবর্তনবাদের পক্ষে সিদ্ধান্তমূলক প্রমাণ (Conclusive evidence) বলা যেতে পারে কিনা। সংক্ষেপে ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া-সদৃশ একটি জীব থেকে উদ্দেশ্যহীন পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে মনুষ্য প্রজাতি সহ পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে এবং এই বিবর্তনে স্রষ্টার কোন ভূমিকা নেই। বিবর্তনবাদ তত্ত্ব এবং অক্সফোর্ড প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্সের বিশ্বাস অনুযায়ী মানুষের পূর্বপুরুষ এক সময় কলাও ছিল – থাকতেই হবে! কলা থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে রিচার্ড ডকিন্সের মতো মানুষ হয়েছে! প্রফেসর জেরী কয়েন এর লেকচার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন